Showing posts with label আমার লেখা অন্যান্য. Show all posts
Showing posts with label আমার লেখা অন্যান্য. Show all posts

Sunday 10 May 2020

Monday 4 May 2020

অনুবাদ শায়েরী ৪

Zehaal-e miskeen
makun taghaaful
durraye naina
banaye batiya

-Amir Khusrau

Meaning:
Don't avoid my pain,
making fancy words,
taking away ur eyes off

Explanation :
You have a very teary painful gaze on ur beloved but she/he is staring to anywhere else but you and deceiving u with sweet but untrustworthy words.

Sunday 3 May 2020

অনুবাদ শায়েরী ৩

" Love how did you come to work on a nobody like me?
Is no one else left in this ruined world?"

"ভালবাসা, তুচ্ছ আমাতে কী করে বাসা বাঁধলে তুমি?
এ পোড়া দুনিয়ায় আর কেউই কি বাকি ছিল না?"

-আমীর খসরু

অনুবাদ শায়েরী ২

"Your beauty won't last long when you leave me,
the rose doesn't last long parted from the thorn"

আমাকে ছেড়ে গেলে সৌন্দর্য ম্লান হবে তোমার
কাঁটা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গোলাপ বাঁচে না তো

-আমীর খসরু

Monday 10 July 2017

Monday 9 January 2017

আজকাল সম্পর্কগুলোয় মানুষ (ছেলে মেয়ে উভয়ই) এত বেশী ফ্লার্ট করে,
এত বেশী মিথ্যে আবেগী কথা বলে ইম্প্রেস করার চেষ্টা করে,
যে সত্যি সত্যি ভালবেসে কেউ তার শুদ্ধতম অনুভুতিটা জানালেও, যাকে জানানো হল সে ভাবে It's just fun.

সত্যিই যে কাউকে দেখার জন্য কেউ দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে পারে,
কারোর হঠাৎ একটু করে দূরে সরে যাওয়ায় কেউ সারা রাত অসহ্য বুকে ব্যথায় (একদম শ্বাস প্রশ্বাস অস্বাভাবিক স্লো হয়ে যাওয়া) না ঘুমিয়ে কাটাতে পারে,
একটা মানুষ কে কেউ প্রতি ঘন্টায় একবার করে হলেও মনে করতে পারে,
কারো জন্য কাঁদতে কাঁদতে সত্যিই যে চোখ ব্যথা হয়ে যেতে পারে,
তার একটু অচেনা মানুষের মত আচরণে কয়েকবেলার খিদে নষ্ট হয়ে যেতে পারে, প্রচণ্ড অস্থিরতায় উদভ্রান্তের মত লাগতে পারে,
পারে আরো অনেক কিছুই এইসব কথা আজকাল মে বি কেউ বিশ্বাসই করতে পারেনা। যাকে বলা হয় সে হয় অবাক, আর যে বলে সে হয় পুরো বোকা, হাসির পাত্র।

Sunday 1 January 2017

আমি যাকে ভালবাসিনা সে যদি আমাকে খুব বাসেও তবুও সে আমার কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কেউ হবেনা, এটাই স্বাভাবিক। খুবই স্বাভাবিক।
আর এই কথাটা সেই ব্যক্তিও কিন্তু বোঝে। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ ভাল ব্যবহার করে, তাকে মিসগাইডেড & কনফিউজড করাটা ভীষণ অপরাধ। যাকে দেব না, তাকে চাইতে শেখাব কেন?
.
সে তো আমার কাছে কখনই মেজর প্রায়োরিটি পাবেনা, বরং আমি যাকে বাসি সে-ই পাবে সেটাই নিয়ম। আমার ইচ্ছে হলেই তাকে আমি খেয়াল খুশী মত এড়িয়ে যেতে যখন পারব, তখন তাকে কোনভাবেই আমার সাথে এটাচড করবার অধিকার কিন্তু আমার নেই।
যদি কোনভাবে লিংকড থাকেও তবে তার সাথে প্রতি মুহুর্তের আচরনটা সৎ হওয়া উচিত। তার জন্য যে স্পেশাল কিছুই অনুভব করিনা সেই সত্যিটাই তাকে বুঝতে দেয়া উচিত। একই রকমের বিহ্যাভ কন্টিনিউ করা উচিৎ। এই ভাল, এই খারাপ- উহুম, কেন?
.
আমার রাগ, অভিমান তার কাছে যতটা গুরুত্ব পায়, তারটা আমার কাছে পাবেনা সেটা তাকে ভদ্রভাবে সরাসরি বুঝিয়ে দেয়া আমার কর্তব্য।
আমার খামখেয়ালী মন হঠাৎ তাকে বাঁধবার আশ্বাস দেবে আবার ভাল না লাগলেই অপমান করবে, যতক্ষণ মতি ফিরবেনা ততক্ষণ যোগাযোগ বন্ধ রাখবে এবং এই পুরো ঘটনাটাই বৃত্তের মত রিপিট করতে থাকবে এইটা তো acceptable না।
.
আর সবচেয়ে ভাল হয় তাকে একলা বাঁচতে শিখতে দেয়া। আমি তো আর থাকার মত করে তার সাথে কখনও থাকবনা। শুধু শুধু জড়িয়ে কষ্ট দেয়া কেন?
তাকে আমার নিজে থেকেই যেতে দেয়া উচিত। সে হয়ত অন্য কোথাও Belong করে। ভুল করে আমার ঠিকানায় চলে এসেছে।
.
আমি কাউকে ভালবাসিনা সেটা আমার অপরাধ না, কিন্তু তাকে ধরা-ছাড়ার মাঝখানে ঝুলিয়ে রাখার দায়টা অবশ্যই আমার এবং এটা অন্যায়। সে আমার ভালবাসাটা না হয় ডিজার্ভ করেনা, কিন্তু সর্বদা ভাল ব্যবহারটা তো ডিজার্ভ করে। আর যদি এটুকুও না পায়, তো রূঢ় আচরণও ডিজার্ভ করেনা....

Saturday 3 October 2015

সত্যিকারের ভাল টা যারা একবার বেসে ফেলে তাদের হয় উভয় সংকট।
হারিয়ে ফেলা বা না পাওয়া মানুষটাকে এদের শুধু কষ্ট বা খারাপ লাগার মুহুর্তেই যে মনে পড়ে এমন নয়।  মনে পড়ে প্রচন্ড সুখের মধ্যেও,  তুমুল আনন্দের মধ্যেও।  মুখে একটা ভাল খাবার তুলবার সময়, একটা সুন্দর গান শোনার সময়, প্রিয় কোন মুভি দেখবার বা বই পড়বার সময়, কিংবা সুন্দর কোন দৃশ্য দেখবার সময়... মোট কথা এদের পুরো পৃথিবী জুড়ে সেই মানুষ টাই থাকে শুধু।
আর এতসব মুহুর্তে সেই মানুষটার অনুপস্থিতি সব আনন্দ মাটি করে দেয়। তীব্র কষ্ট হয় তখন। হাজার চেষ্টায়ও চোখ দুটো না ভিজিয়ে পারা যায় না। এই মানুষগুলো একবার মরেনা। বার বার করে সারাটা জীবনই মরতে থাকে, নি:শ্বাস টা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
কিন্তু এত এত ভালবেসেও সেই মানুষটাকে এরা কোন দিন নিজের করে পায় না। অপ্রাপ্তির খাতায় আর কিছু না থাক এই মানুষটার নাম আজীবন থেকে যায়...

Thursday 1 October 2015

" যে আজ আপনার ভালবাসা উপেক্ষা করে আপনাকে ঠকিয়ে চলে যাচ্ছে, সে একদিন অবশ্যই তার ভুল বুঝতে পারবে। সেদিন সে আপনাকে মিস করবেই, ক্ষমাও চাইবে। "
আচ্ছা বুঝলাম- মিস করবে, ক্ষমা চাইবে কিন্তু তাতে লাভ টা কি হবে?
যে ক্ষতি সে করে গিয়েছিল তা পূরণ হয়ে যাবে? যে ক্ষত সে তৈরি করে রেখে গিয়েছিল তা সেরে যাবে? সবচেয়ে বড় কথা সে কি সেদিন আপনাকে ভালবাসবে? নাকি অন্য কেউ তাকে বাসেনি বলে সেই অভাববোধ থেকে আপনাকে শুধুই স্মরণ করবে? ( এটা আপনাকে মিস করা নয়)
যদি এই হয় কারন তবে মিস করার নাটক করবার দরকারটা কি? যদি ভালই না বাসে তবে ক্ষমা চেয়ে মহৎ সাজবার কোন প্রয়োজন দেখিনা। বাজারে নুন বেশি সস্তা হলে কিনে আড়ত দিক, কাঁটা ঘায়ে ছিটিয়ে আর উপকার করতে হবেনা। বহুত করে গেছে।
সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যপার হল, আপনাকে ছেড়ে ছুড়ে চলে যাবার দিন আর আবার ফিরতে চাওয়ার দিন দুটো দিনেই আপনার প্রতি তার মানসিকতা আর দৃষ্টিভংগী একইরকম থেকে যাবে। সামান্য যেটুক পার্থক্য সেটা হল তখন চলে যাবার সময় সে আপনাকে দয়া মায়ার ছিঁটে ফোঁটাও দেখায়নি,  তাই ফের ফিরতে চেয়ে সেই অন্যায়ের গতি করতে চাইবে।  কিন্তু ভালবাসা দিয়ে নয়,  করুণা দিয়ে।
তাই যে অহংকার আর উদ্ধতভাব নিয়ে সে ছেড়ে গিয়েছিল সেটাই ধরে রাখ সারাজীবন।
তাতে করে আরো একবার তাকে কাছে টানবার মত মারাত্মক ভুলের চিন্তা আপনার মাথায় লম্ফঝম্ফ দেবে না।
আর মিথ্যে মায়া দেখিয়ে ফের ধোঁকাবাজি করার প্রয়াসটা তার শরীরে সত্যিই মানুষের রক্ত আছে কিনা সে ব্যপারে আমাদের সন্দেহকে সত্যি করবার সম্ভাবনা বাড়াবে শুধু এছাড়া আর কোন প্রাপ্তিযোগ হবেনা ....

Wednesday 1 July 2015

ভাললাগা ভালবাসা এক নয়...

এক জীবনে আমাদের অনেককেই ভাল লাগতে পারে, লাগে। কিন্তু ভালটা আমরা মাত্র এক জনকেই বাসতে পারি। 
সত্যিকারের ভালবাসাটা। 

সমস্যা এটা নয়। সমস্যা হচ্ছে আমরা নিজেরাই যখন আমাদের এই ভাললাগা আর ভালবাসার পার্থক্যটা বুঝতে পারিনা। ভাললাগাটা কে ভালবাসা দাবি করে বড়াই করি, আরেকজনকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখাই। ভ্রান্ত আবেগে আরেকজনের জীবনের সাথে নিজেকে জড়াতে চাই, তার সাথে সারাজীবন থাকবার ভান করি

কিন্তু ভাবিনা অজ্ঞানতাবশত অনুভূত হওয়া ভালবাসা নামের এই ভাললাগাটা কিংবা সজ্ঞানেই করা ভালবাসার এই অভিনয় টা, সেই মানুষ টার জীবন বিধ্বংসী হতে পারে।

কারণ সে হয়ত আপনাকে ভাললাগা নয় ভালবেসেই মনে জায়গা দিয়েছে / ভাললাগার মুগ্ধতা বা প্রাপ্তির মোহ কেটে গেলে আপনি তাকে সহজেই ছেড়ে দিতে পারবেন কিন্তু সে বেচারার তো নরক দর্শন হয়ে যাবে।
কারণ ভালবাসার নেশা যে কাটবার নয় সে তো আমৃত্যু থাকে.....

Monday 29 June 2015

হুমায়ূন আহমেদ কে নিয়ে....

হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। একদল তাঁর অন্ধ ভক্ত এমনই যে তাকে বিশ্বের সেরা লেখক বলতেও এরা দ্বিতীয় বার ভাবে না, অন্যদল চরম বিদ্বেষী এতটাই যে মনে হয় স্যারের বাড়ির ইয়ের বর্জ্য সব এদের উঠোনে গিয়ে পরে। 
আমি এ দুটোর কোনটাই নই। 
ওনার অনেক অনেক লেখা পড়ে আমি জাস্ট "থ" মেরে গিয়েছি... অসাধারণ এর চেয়েও বেশি মনে হয়েছে। 
হাসতে হাসতে ডিগাবাজি খেয়ে উলটে পড়েছি, আবার কান্না আটকাতে চোখ মুখ শক্ত করে বসে থেকেছি...
কিছু লেখা আবার প্রচন্ড হতাশ করেছে, সস্তা মনে হয়েছে, চাপে পড়ে বা জাস্ট লিখতে হবে বলেই লিখে আস্ত একটা বই ছাপিয়ে দিয়েছেন এমন মনে হয়েছে।

আমি মুগ্ধ হয়েছি, বিরক্ত হয়েছি।
তারিফ করেছি, কপাল কুঁচকে থেকেছি।
কিন্তু আমার অন্ধ আবেগ আসেনি, ভ্রান্ত বিদ্বেষ আসেনি।

অনেকে আবার লেখক হুমায়ুনের সাথে ব্যক্তি হুমায়ুনকে, তার দাম্পত্য জীবন কে শরবত বানিয়ে ফেলেন।
আমি এই বাতিকটায়ও আক্রান্ত নই।
যারা এ রোগের রোগী তাদের ও আমি হুমায়ুন প্রসংগে এড়িয়ে চলি।
এরা কোন কথা বুঝতে চাইবে না। শুধু শুধু আমার গুষ্টি উদ্ধার করে দেবে তাই।

আমি সাহিত্যের সুধা টা চেখে দেখতে ভালবাসি। আর সাহিত্যের বিশাল সাম্রাজ্যে "হুমায়ুন আহমেদ" একটা বিরাট সুসমৃদ্ধ রাজ্যের নাম। পরিব্রাজক হিসেবে এ রাজ্যে ঢুঁ মারাটাও আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। তা নইলে যে অনেক কিছু অজানা থেকে যাবে।
এজন্য হুমায়ুন প্রেমিক হতে হয়না।
আগ্রহই যথেষ্ট বলে বোধ করি। আর আগ্রহ উদ্রেকের প্রায় সমস্ত উপাদানই এ রাজ্যে আছে।
আর একটা রাজ্যের সব কিছুই যে অতুলনীয়, মোহনিয়, প্রশংসাযোগ্য হবে এমন নমুনা তো পরাক্রমশালী মুঘল রাও দেখাতে পারেনি। ওদের ও তো কত সীমাবদ্ধতা ছিল।


হুমায়ুন আহমেদ যেমন ৮০-৯০ এর দশকের শহুরে মধ্যবিত্ত জীবনের টানা পোড়েন, মূল্যবোধের অদ্ভুত রকম স্পস্ট ছবি বার বার এঁকেছেন তেমনি একেবারে গ্রামীণ জীবন ধারার সাথেও আলাপ করিয়ে এনেছেন একি নৈপুণ্যে।
এত এত এত অসাধারণ সব চরিত্র, প্রেক্ষাপট, সময়, বিষয়বস্তু, কাহিনী, কোন টা রেখে কোনটার প্রতি আলাদা করে ভাল লাগার কথা বলব! আবার শেষের দিকের কিছু লেখা বিরক্ত লেগেছে যে খুব সেটার লিস্টও না হয় না দিলাম :)
বলেও আসলে শেষ করা দুষ্কর সবকিছু।

আর একটা কথা সেই সকল পাঠক দের জন্যে যারা, রবীন্দ্রনাথ সহ বাংলা সাহিত্যের সেই সময়কার অনেক রথী- মহারথী এবং ওপার বাংলার সমরেশ-সুনীল-শীর্ষেন্দু এই ঘরানার বই পড়ে এসে হুমায়ুন কে যাচ্ছে তাই বলে বিজ্ঞ সাজেন।
সবারই তো একটা নিজস্বতা আছে, নয় কি?
হুমায়ুন যদি রবি ঠাকুর বা সুনীল- সমরেশের মতই লিখবেন তবে আর তিনি হুমায়ুন আহমেদ হতেন কি করে!! আপনারও হুমায়ুন কে পড়ার কি দরকার!! ওঁদের কেই পড়ুন না শুধু।
হুমায়ুন আহমেদ একটা নিজস্ব ধারা তৈরি করেছিলেন সেটাই বা কয়জনে পারে? যেমনটা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
আর আমার মনে হয় হুমায়ুন আহমেদের এই প্রায় ৩ শতাধিক বই লিখে যাওয়ার সবচেয়ে বড় অর্জন এটাই। নিজস্ব একটা ব্রান্ড/ ঘরানা তৈরি করতে পারা।
যদিও যে কারও দ্বিমত থাকতেই পারে।

পরিশেষে একটা কথা বলি, একচোখা পক্ষপাতিত্ব বা একরোখা বিদ্বেষ দুটোই কিন্তু খারাপ।
গোঁড়ামি সবক্ষেত্রেই বর্জনীয়।

বিঃ দ্রঃ জানিনা এই লেখার প্রতিক্রিয়া কি হবে। লেখকের অতিমাত্রায় ভক্তরা হয়তো কোন একটা ভুল ধরে বা সমালোচনা করেছি বলে আমার গুষ্টি উদ্ধার করে দেবেন।
আর বিদ্বেষী রা হয়ত আবার কেন প্রশংসা করলুম এই দোষ (!!!) ধরে আমাকে ধুয়ে দেবেন।